২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল ৭ টা ১৭ মিনিটে মিতু তার বাচ্চাকে স্কুলবাসে তুলে দেয়ার জন্য চট্টগ্রামের জি ই সি মোরে আসেন। এসময়ে তাকে গুলি করা হয় এবং নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়। মিতুকে আক্রমণ করার সময়ে মুসা তার ছেলেকে আটকে রাখে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক ইউ এন এইচ সি আর এর বাংলাদেশে প্রতিরোধ শাখার কর্মরত ভারতীয় নারী গায়েত্রি এম্মারসিং এর সাথে প্রেম হয় বাংলাদেশ পুলিশ এর সাবেক এস পি বাবুল আখতার এর।
গায়েত্রি কিছু এস এম এস পাঠান বাবুল এর মোবাইল ফোনে। এ এস এম এস গুলো দেখে বাবুল আক্তার এর স্ত্রী জানতে পারেন, তার স্বামীর সাথে গায়েত্রির প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে তাদের মাঝে শুরু হয় কলহ।
বাবুল পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় চলে আসেন। এসময়ে তার স্ত্রী বাচ্চাদের নিয়ে চট্টগ্রামে থাকতেন। ঘটনার পর তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি বলেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রী লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকতে পারেন।
কিন্তু পরবর্তিতে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে নতুন মামলা দায়ের করেছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।
আদালতে ওয়াসিম জানান, স্ত্রীকে খুন করাতে তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন বাবুল। গ্রেফতারকৃত আসামী ওয়াসিম জানান, বিকাশের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা দেন বাবুল। আর এ হত্যাকান্ডে অংশ নেন ওয়াসিম, কালু, মূসা ও নবী। আসামী নবী পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন।